দশম শ্রেণী বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 7
Class 10 Model Activity Task
Bengali
Class 10
Part 7
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ “হরিদার জীবনে সত্যিই একটা নাটকীয় বৈচিত্র্য আছে।’- হরিদার জীবনের বৈচিত্র্যকে ‘নাটকীয়’ বলা হয়েছে কেন ?
উত্তর- সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পে হরিদা ছিলেন অত্যন্ত গরিব মানুষ। কিন্তু ধরাবাঁধা ছকে জীবন কাটানো হরিদার পছন্দ ছিল না। তাই অভাবের মধ্যেই তিনি জীবনের বৈচিত্র্য খুঁজতেন। হঠাৎ হঠাৎ বিচিত্র ছদ্মবেশে পথে বের হতেন হরিদা। কখনও বাসস্ট্যান্ডের কাছে উন্মাদের বেশে তাঁকে দেখা যেত, আবার কখনও শহরের রাজপথ ধরে বাইজির বেশে ঘুঙুর বাজিয়ে চলে যেতেন, কখনও বোঁচকা কাঁধে বুড়ো কাবুলিওয়ালা, কখনও হ্যাট, কোট, প্যান্টালুন পরা ফিরিঙ্গি সাহেব—এরকম অজস্র রূপেই হরিদাকে দেখতে পাওয়া যেত। বহুরূপীর বৈচিত্র্যময় পেশাকে সঙ্গী করেই তিনি অন্নসংস্থানের চেষ্টা চালাতেন। তাই হরিদার জীবনের বৈচিত্র্যকে ‘নাটকীয়’ বলা হয়েছে।
১.২ ‘কি হেতু মাতঃ, গতি তব আজি / এ ভবনে!’ – বক্তা কাকে ‘মাত: ‘ সম্বোধন করেছেন ? তার আগমনের কারণ কী ?
উত্তর- মেঘনাদবধ কাব্য-র প্রথম সর্গ থেকে সংকলিত ‘অভিষেক’ শীর্ষক কবিতায় বক্তা ইন্দ্রজিৎ, রাক্ষসীর ছদ্মবেশে আসা দেবী লক্ষ্মীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্যটি করেছেন।
তার আগমনের কারণ স্বরূপ, দেবী লক্ষ্মী ইন্দ্রজিৎকে লঙ্কার বর্তমান অবস্থার কথা জানান। রামচন্দ্রের সাথে ভয়ংকর যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ইন্দ্রজিতের অনুজ বীরবাহু। রাক্ষসরাজ রাবণ প্রিয় পুত্রের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। পুত্রের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে তিনি স্বয়ং যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই ‘মায়াবী মানব’ রামের ছলনার কথা বলে লক্ষ্মী তাঁকে শীঘ্রই যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে অনুরোধ করেন।
১.৩ হায়, বিধি বাম মম প্রতি।” – বক্তা কে ? তার এমন মন্তব্যের কারণ বিশ্লেষণ করো। ১ + ২
উত্তর- মেঘনাদবধ কাব্য-র প্রথম সর্গ থেকে সংকলিত ‘অভিষেক’ শীর্ষক কবিতায় আলোচা উদ্ধৃতাংশটির বক্তা লঙ্কারাজ রাবণ।
ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদে বিচলিত ইন্দ্রজিৎ রাবণের কাছে আসেন এবং রামচন্দ্রকে ‘সমূলে নির্মূল’ করার জন্য অনুমতি চান। পুত্রশোকে কাতর রাবণ নতুন করে পুত্রশোকের সামনে দাঁড়াতে চান না বলেই এ বিষয়ে নিজের অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। সব কিছুর মধ্যে তিনি নিয়তির বিরূপতাকেই লক্ষ করেন কারণ ইন্দ্রজিতের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত রামচন্দ্রের পুনর্জীবন লাভ তাঁকে হতাশ করে। তাই এরূপ মন্তব্য।
১.৪ ‘ওরে ওই স্তদ্ধ চরাচর। ‘চরাচর’ শব্দের অর্থ কী ? সেখানে স্বল্পতা বিরাজমান কেন ? ১ + ২
উত্তর- কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘চরাচর’ শব্দের অর্থ হল বিশ্ব সংসার।
অসুন্দরের বিনাশ ঘটিয়ে সমাজে সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করতে মহাকাল বিধ্বংসী রূপ ধরে আগত। মহাকালের ঝামর চুলের আঘাতে সমগ্র আকাশ কম্পমান। জাজ্জ্বল্যমান ধুমকেতু যেমন আকাশের বুক চিরে তার পূর্ণ শক্তি নিয়ে হাজির হয় মহাকাল তেমন-ই পূর্ণ শক্তি নিয়ে আগত। তাঁর শক্তিশালী দেহ থেকে ঝংকৃত হচ্ছে রক্তমাখা সী চেহাৱা থেকে তরবারি। মহাকালের বিধ্বংসী চেহারা থেকে ঝরে তছে ভয়ঙ্কর অট্টরোল। তাই মহাকালের এই ভয়ঙ্কর আগমন চারিদিক তথা সমগ্র চরাচর স্তব্ধ।
১.৫ দেখি তোমার ট্যাকে এবং পকেটে কী আছে ? – উদ্দিষ্ট ব্যক্তির ট্যাক এবং পকেট থেকে কী কী পাওয়া গিয়েছিল।
উত্তর:- উদ্ধৃতাংশটি প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে। পলিটিকাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিকে ধরার জন্য পুলিশ ব্যসাচী মল্লিকে অত্যন্ত সন্দেহবশত গিরিশ মহাপাত্রকে আটক করে। পুলিশের হাপাত্রকে অ জিজ্ঞাসাবাদ এবং খানা-তল্লাশির সময় তার ট্যাঁক এবং পকেট থেকে নানান ধরনের জিনিস পাওয়া যায়।
তার ট্যাক থেকে এক টাকা ও গন্ডা ছয়েক পয়সা পাওয়া গিয়েছিল। এবং তার পকেট থেকে একটা লোহার কম্পাস, মাপ করার কাঠের একটা ফুটরুল, কয়েকটা বিড়ি, একটা দেশলাই ও একটা গাঁজার কল্কে পাওয়া যায়।
২. নিম্নরেখ পদগুলির ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো :
২.১ তোরা সব জয়ধ্বনি কর!
উত্তর- ব্যাসবাক্য – জয় সূচক ধ্বনি (মধ্যপদলোপী কর্মধারায় সমাস)
২.২ দেবতা বাঁধা যজ্ঞ-যুপে পাষাণ-স্তূপে।
উত্তর- ব্যাসবাক্য – যজ্ঞের নিমিত্ত যুপ, (নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস)
২.৩ আমি এখন তবে চললুম কাকাবাবু।
উত্তর- ব্যাসবাক্য – যিনি কাকা তিনি বাবু (সাধারণ কর্মধারায় সমাস)
২.৪ হিন্দু-মুসলমানের মাতৃভূমি গুলবাগ এই বাংলা।
উত্তর- ব্যাসবাক্য – হিন্দু ও মুসলমান (দ্বন্দ্ব সমাস)
২.৫ তার শোকে মহাশোকী রাক্ষসাধিপতি।
উত্তর- ব্যাসবাক্য – রাক্ষস দের অধিপতি (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)
0 Comments