মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দশম শ্রেণি বাংলা Part 1
1. তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন – তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ ?
উওর: প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটি আশাপূর্ণা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্পের থেকে নেওয়া হয়েছে। শিশুমন হয় কোমল, সামান্য আঘাত পেলে তারা ভীষণভাবে মুষড়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে, ছোট্ট তপনের লেখক সম্পর্কে সব কৌতুহলের শেষ হয় যখন সে নতুন মেসোকে দেখে।অনুপ্রাণিত তপন একটি গল্প লেখে। সেই গল্প মাসির পীড়াপীড়িতে মেসোর হাত ধরে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপা হয়। স্বাভাবিক কারণে তপন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। নিজের লেখক সত্তাকে নিয়ে সে গর্ব অনুভব করে কিন্তু তার গর্ব মাটিতে মিশে যায় গল্পটি পড়ার সময় – সে দেখে প্রকাশিতে প্রকাশিত গল্পের তার লেখা লেখার লেশমাত্র নেই ,কারণ গল্পটা সামান্য কারেকশনের নামে পুরোটাই বদলে গিয়েছিল। এতে তপনের লেখক সত্তা অপমানিত হয়। তার চোখে জলে ভরে যায়। এই কারণে ওই দিনটিকে তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন বলে মনে হয়।
2. আমাদের ইতিহাস নেই – এই উপলদ্ধির মর্মাথ লেখো ?
উওর: স্বাধীনতা পরবর্তী যুগের অন্যতম সমাজসচেতন কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার অংশবিশেষ। সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প আজকের পৃথিবীকে বিষাক্ত করে তুলেছে। মানুষের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন । এই সময়ে আমরা বিশেষ করে সাধারণ মানুষ এক ভয়ঙ্কর দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সামনের প্রতিকূল পথ ধরে এগিয়ে চলেছি। এছাড়া আমাদের সামনে আর কোন পথ নেই। ভাবি প্রজন্মকে রক্ষা করতে আমরা ব্যর্থ। প্রতিক্ষণে হানাদারি মৃত্যুর ভয়ে আমরা ভীত ,কিন্তু আমাদের এই দুঃখের ইতিহাস অলিখিত থেকে যাবে চিরকাল। রানার-এর বেদনার মতো কাল রাত্রের খামে চিরকাল তা আবদ্ধ থেকে যাবে, কবির আক্ষেপ।
বিশ্বাসের ভীত যেখানে আলগা হয়ে যায়, সেখানেই সংশয় সৃষ্টি হয় । কবি মনে করেন সারা পৃথিবীর ইতিহাসে সাধারণ মানুষের কথা সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি, কারণ ইতিহাস কে নিয়ন্ত্রণ করে শাসক ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আর সাধারণ মানুষের যদিও কোনো ইতিহাস থাকে তবে তা অস্পষ্ট এবং অর্ধসত্য । তাদের অসহায় বিপন্নতা কিংবা করুন পরিস্থিতির খোঁজ, শাসকের ইতিহাসে অনুপস্থিত বলেই – তথাকথিত বিকৃত ইতিহাস সম্পর্কে কবির এই সংশয়।
3. এল মানুষ ধরার দল তাদের আগমনের আগে আফ্রিকায় স্বরূপ কেমন ছিল?
উওর: জাতীয়তাবাদের পশ্চিমী সাম্রাজ্যবাদী জাতিগোষ্ঠীর জাতীয়তাবাদের পরিচয় প্রসঙ্গে ‘মানুষ ধরার দল’ বিশেষণটি ব্যবহার করেছেন।
সৃষ্টির আদিতে আফ্রিকা তৈরি হয়েছিল প্রকৃতির খেয়ালে। আদিম প্রকৃতি নিজের মনের মতো করে গড়ে তুলেছিল আফ্রিকাকে। বাকি পৃথিবীর কাছে আফ্রিকা ছিল অপরিচিত। স্বল্প আলোকিত প্রদেশে নিভৃতের অবকাশে আফ্রিকা দুর্গম রহস্যকে উপলব্ধি করতে পেরেছিল। আর সেইসঙ্গে চিনে নিতে পেরেছিল জল- স্থল আকাশের দুর্বোধ্য রহস্য-কে।
কবির মতে সৃষ্টির আদি লগ্নে বিশ্বস্রষ্টা তার নতুন সৃষ্টিকে যখন বারবার ভেঙে নতুন করে গড়েছিলেন তখনই সমুদ্র এসে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে আফ্রিকা।4. সব মিলিয়ে লেখালিখি রীতিমতো ছোটোখাটো একটা অনুষ্ঠান – প্রবন্ধ অনুসারে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো ?উওর: প্রাবন্ধিক নিখিল সরকার ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধের প্রশ্ন উক্তিটি করেছেন।
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের লেখক নিখিল সরকার(শ্রীপান্থ) নিজের ছেলে বেলার স্মৃতিচারণ করেছেন। যদিও বর্তমানে লেখক এর কর্মক্ষেত্র টি একটি প্রকাশনা সংস্থা হলেও সেখানে কলম খুঁজে পাওয়া ভার। এখানে সবাই কাজ করে কম্পিউটারে, লেখেন কিবোর্ড এ অথচ গ্রামের ছেলে শ্রীপান্থ ছেলেবেলা থেকে কালি ও কলম নিজেরা তৈরি করে লিখতে অভ্যস্ত।
আলোচনা প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক খুব সহজভাবে অতীতের স্মৃতিচারণা করেছেন। প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ বাঁশের কঞ্চির কলম তৈরির কথা বলেছেন ।লেখকেরা কঞ্চির ডগার দিকে ছুঁচলো করে মুখটা আড়াআড়িভাবে চিরে দিতেন যাতে একসঙ্গে অনেক টা কালি লেখার পাতায় গড়িয়ে না পড়ে। বাঁশের কঞ্চি ছাড়া পাখির পালক, নলখাগড়ার কলম ইত্যাদির কথাও বলেছেন ।লেখকরা নিজেরাই এই কালী তৈরি করলেও মাপ ঋষিদের সাহায্য নিতেন।লেখকরা তিল, নিফলা লোহার পাত্রে ভিজিয়ে রাখতে ন ছাগলের দুধ দিয়ে। তারপর একটি লোহার দন্ড দিয়ে ভালো করে ঘষে নিতে হতো । এভাবে কালি তৈরি করত। আর লেখকদের কালি তৈরির পদ্ধতি ছিল বেশ সহজ। বাড়িতে কাঠের উনুন এ যে কড়াইয়ে রান্না হতো তার তলায় কালি জমতো। সেই কালি লাউ পাতা দিয়ে ঘষে তুলে নিয়ে পাথরের বাটিতে রাখা জলে গুলে নেওয়া হতো। কেউ কেউ এর মধ্যে হরিতকী ঘষতেন ও পোড়া আতপ চাল গুড়ি মেশাতেন। সবশেষে খুন্তি কে লাল করে সেই জলে ডোবালে জল ফুটে উঠত। ঠান্ডা জলে ডোবালে জল ঠান্ডা জলে ভরে দেয়া হতো। ঠান্ডা হলে ন্যাকড়ায় ছেকে দোয়াতে ভরে নেয়া হতো।
ক্লাস টেনের ছাত্র-ছাত্রীরা যারা এখনো পর্যন্ত নতুন মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর উত্তর পাইনি তাদের জন্য বলা হচ্ছে 18 তারিখ আমরা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক উত্তর প্রদান করব.
5. সব চূর্ণ হয়ে গেল জ্বলে গেল আগুনে- কবিতা অনুসারে পরিস্থিতির বিববরণ দাও
উওর: বিংশ শতকের প্রখ্যাত চিলিয়ান কবি পাবলো নেরুদা যুদ্ধের বিপক্ষে ও মানবতার স্বপক্ষে দাঁড়িয়ে বলেছেন। আগ্নেয় পাহাড়ের ন্যায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ভয়ঙ্কর লেলিহান আগুনে চূর্ণ হয়েছিল কথকের বাড়ি। একদা যে বাড়ির বারান্দায় ঝুলন্ত বিছানায় তিনি ঘুমাতেন। ধ্বংস হয়ে গেছে কথকের গোলাপি গাছ চিমনি আর জলতরঙ্গ যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বক্তার সৌন্দর্যবোধ ইত্যাদি প্রেমের পরিচায়ক – এসমস্ত আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে।
6. অনুক্ত কর্তা – বলতে কি বুঝ?
উওর: যখন কোন বাক্যে কর্তা প্রধানভাবে উক্ত হয় না তাকে অনুক্ত কর্তা বলে।
7. অ- কারক পদ কয় প্রকার ও কি কি?
উওর: অকারক পদ দুই প্রকার সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ।
8. তির্যক বিভক্তি কাকে বলে?
উওর: কোন বিভক্তি একাধিক কারকে ব্যবহৃত হলে তাকে তির্যক বিভক্তি বলে। যেমন- এ, য়, য়ে
0 Comments